জ্যামিতিক সংজ্ঞা

০১. প্রতিজ্ঞা:  জ্যামিতিতে বৃন্দ, রেখা, ক্ষেত্র ইত্যাদি সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রমান করা বা অঙ্কন করার প্রস্তাব কেই প্রতিজ্ঞা বলে।

০২. সামন্তরিক: যে চতুর্ভুজের বিপরিত বাহুগুলো পরস্পর সমান এবং সমান্তরাল কিন্তু কোনগুলো সমকোন নেই তাকে সামন্তরিক বলে।

০৩. লম্ব: একটি সরল রেখার উপর আর একটি সরল রেখা দন্ডায়মান হলে যে দুটি সন্নিহিত কোণ উৎপন্ন হয় এবং উৎপন্ন সন্নিহিত কোণ যদি পরস্পর সমান হয় তাহলে রেখাগুলোকে লম্ব বলে।

০৪. রম্বস: যে চতুর্ভুজের প্রতিটি বাহু সমান কিন্তু কোণগুলো সমকোণ নয় তাকে রম্বস বলে।

০৫. আয়তক্ষেত্র: যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান এবং কোণগুলো সমকোণ তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।

০৬. জ্যা: বৃত্তের পরিধি যে কোন দুই বিন্দুর সংযোজক সরল রেখাকে জ্যা বলে।

০৭. বৃত্ত: কোন সমতলে একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে সমান দূরত্ব বজায় রেখে অপর একটি বিন্দু তার চারদিকে একবার ঘুরে এলে যে ক্ষেত্র উৎপন্ন হয় তাকে বৃত্ত বলে।

০৮. রেখা: বিন্দুর চলার পথকে রেখা বলে।

০৯. সরলরেখা: একটি বিন্দু থেকে অন্য একটি বিন্দুতে পৌঁছাতে যদি কোনো প্রকার দিকের পরিবর্তন না হয় তবে তাকে সরল রেখা বলে।

১০. সমান্তরাল রেখা: দুটি রেখা যদি পরস্পরের মধ্যে সর্বদা সমান দূরত্ব বজায় রেখে চলতে থাকে তবে তাকে সমান্তরাল রেখা বলে।

১১. কোণ: দুটি রেখাংশ কোন বিন্দুতে মিলিত হলে কোণ উৎপন্ন হয়।

১২. সূক্ষ্ম কোণ: ৯০ ডিগ্রি অপেক্ষা ছোট কোণকে সূক্ষ্মকোণ বলে।

১৩. সমকোণ: একটি রেখা অপর একটি রেখার উপর লম্ব হলে সমকোন সৃষ্টি করে। অথবা, যে কোণের পরিমাপ ৯০ ডিগ্রি তাকে সমকোণ বলে।

১৪. স্থুল কোণ: ৯০ ডিগ্রি অপেক্ষা বড় কিন্তু ১৮০ ডিগ্রি অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থুল কোণ বলে।

১৫. অনুরুপ কোণ: দুইটি সমান্তরাল রেকাকে অপর একটি রেখা তীর্যকভাবে ছেদ করলে ছেদকের একই পার্শ্বস্থ কোণদ্বয়ের একটিকে অপরটির অনুরূপ কোণ বলে। অনুরূপ কোণদ্বয় পরস্পর সমান হয়।

১৬. অন্তঃস্থ কোণ: কোনো আবদ্ধ ক্ষেত্রের ভিতরে উৎপন্ন কোণগুলোকে ঐ আবদ্ধ ক্ষেত্রের অন্তঃস্থ কোণ বলে।

১৭. বহিঃস্থ কোণ: কোন আবদ্ধ ক্ষেত্রের কোনো এক বাহুকে বর্ধিত করলে যে কোণ উৎপন্ন তাকে ঐ আবদ্ধক্ষেত্রের বহিঃস্থ কোণ বলে।

১৮. কেন্দ্রস্থ কোণ: বৃত্তের কোনো চাপ/জ্যা কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে কেন্দ্রস্থ কোণ বলে।

১৯. বৃত্তস্থ/পরিধিস্থ কোণ: বৃত্তের কোনো জ্যা/চাপ পরিধির উপর কোনো বিন্দুতে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে বৃত্তস্থ বা পরিধিস্থ কোণ বলে।

২০. রেডিয়ান কোণ: কোনো বৃত্তের ব্যাসার্ধের সমান চাপ ঐ বৃত্তের কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে রেডিয়ান কোণ বলে।

২১. অর্ধবৃত্তস্থ কোণ: বৃত্তের ব্যাস/অর্ধবৃত্তচাপ পরিধির কোনো বিন্দুতে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে অর্ধবৃত্তস্থ কোণ বলে।

২২. প্রবৃদ্ধ কোণ: দুই সমকোন হতে বড় চার সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলে। অর্থাৎ, ১৮০ ডিগ্রির চেয়ে বড় কিন্তু ৩৬০ ডিগ্রির চেয়ে ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলে।

২৩. একান্তর কোণ: দুটি সমান্তরাল সরলরেখাকে অপর একটি রেখা তির্যকভাবে ছেদ করলে ছেদক রেখার বিপরীত পার্শ্বে সমান্তরাল রেখা যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে একান্তর কোণ বলে।

২৪. সরল কোণ: ঘূর্ণায়মান রেখাটি যখন স্থির রেখার ঠিক বিপরীত পার্শ্বে অবস্থান করে তখন তাদের মধ্যবর্তী কোণকে সরল কোণ বলে। অর্থাৎ, যে কোণ ১৮০ ডিগ্রির সমান তাকে সরল কোণ বলে।

২৫. পূরক কোণ: যদি দুটি কোণের পরিমাণ ৯০ ডিগ্রি কোণের সমান হয় তবে একটি কোণকে অপর কোণের পূরক কোণ বলে।

২৬. সম্পূরক কোণ: যদি দুটি কোণের পরিমান ১৮০ ডিগ্রির সমান হয় তবে একটি কোণকে অপর কোণের সম্পূরক কোণ বলে।

২৭. সন্নিহিত কোণ: যদি দুটি কোণের একই শীর্ষবিন্দু এবং একটি সাধারণ বাহু থাকে তবে একটি কোণকে অপর কোণের সন্নিহিত কোণ বলে।

২৮. বিপ্রতীপ কোণ: দুটি সরল রেখা পরস্পরকে ছেদ করলে ছেদ বিন্দুতে যে চারটি কোন উৎপন্ন হয় তাদের যে কোনো একটি কোণকে তার বিপরীত কোণের বিপ্রতীপ কোণ বলে।

২৯. ত্রিভুজ: তিনটি রেখাংশ দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ বলে।

৩০. সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের তিনটি কোনই সূক্ষ্মকোণ (৯০ ডিগ্রির চেয়ে ছোট) তাকে সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ বলে।

৩১. স্থুলকোণী ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের একটি কোণ স্থুলকোণ (১ সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু ২ সমকোণ অপেক্ষা ছোট) তাকে স্থুলকোণী ত্রিভুজ বলে।

৩২. সমকোণী ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের একটি কোণ সমকোণ (৯০ ডিগ্রির সমান) তাকে সমকোণী ত্রিভুজ বলে।

৩৩. অতিভুজ: সমকোণী ত্রিভুজের সমকোণের বিপরীত বাহুকে অতিভুজ বলে।

৩৪. বিষম ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের প্রত্যেকটি বাহুর দৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন তাকে বিষম বাহু ত্রিভুজ বলে।

৩৫. সমবাহু ত্রিভুজ: 
ক. তিনটি বাহু সমান।
খ. তিন কোণ সমান এবং প্রতিটি কোণের মান ৬০ ডিগ্রি।
গ. মধ্যমাসমূহ সমান।
ঘ. সকল মধ্যমাই লম্ব।
ঙ. ক্ষেত্রফল=√3/4 a^2 ; যখন a=একটি বাহুর দৈর্ঘ্য।

৩৬. সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ:
ক. দুটি বাহু সমান।
খ. সমান সমান বাহু সংলগ্ন কোণদ্বয় সমান।
গ. সমান সমান বাহুর সাধারণ বিন্দু থেকে বিপরীত বাহুর উপর অঙ্কিত মধ্যমা ঐ বাহুর উপর লম্ব।
ঘ. সমান সমান বাহুর বিপরীত কোণ সমান।
ঙ. ক্ষেত্রফল= a/4 √(〖4b〗^2-a^2 ) [সমান বাহু b]

৩৭. বিষমবাহু ত্রিভুজ:
ক. তিনটি বাহুই পরস্পর অসমান।
খ. ক্ষেত্রফল =√(s(s-a)(s-b)(s-c))
অর্ধ পরিসীমা, S=(a+b+c)/2=(তিন বাহুর যোগফল)/2


*** আমরা চেষ্টা করেছি নির্ভূল তথ্য উপস্থাপন করতে। কোন প্রশ্নে ভূল থাকলে আমাদেরকে জানাবেন, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করবো ইনশা-আল্লাহ। ভূল থাকলে সেকশন ও প্রশ্ন নাম্বার এবং সঠিক উত্তরটা লিখে আমাদেরকে মেইল করুন bdteamnahid@gmail.com অথবা Facebook এ মেসেজ করতে পারেন, আমাদের পেজের লিংক https://www.facebook.com/teamnahidbd (Team Nahid) অথবা ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট http://www.teamnahid.com